জীবন আগে নাকি ঈদের আনন্দ?
মোহাম্মদ ওসমান (বিশেষ প্রতিনিধি):
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আসে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আর এই ঈদে প্রতিটি মুসলিম তার সাধ্যানুযায়ী সন্তান, পরিবার পরিজনদের জন্য নতুন পোশাক কিনে থাকে। কিন্তু এবারের ঈদ সম্পুর্ণ ভিন্ন। সারা বিশ্ব এখন করোনার ভয়াবহ থাবায় টালমাটাল। ইউরোপ, আমেরিকার উন্নত দেশগুলোও অবস্থা সামাল দিতে দিশেহারা। বাংলাদেশ ও রেহাই পায়নি করোনার ছোবল থেকে। অবস্থা সামাল দিতে সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। পরবর্তীতে কয়েক ধাপে তা বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে করা হয়েছে ত্রানের ব্যবস্থা। ব্যাবসায়ীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থবিধি মেনে এবং কিছু অবশ্য পালনীয় শর্ত সাপেক্ষে ১০ মে থেকে মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সিংগাইর উপজেলার জামশা বাজার ঘুরে দেখা গেছে কোন স্বাস্থবিধি বা শর্ত না মেনেই দোকান গুলোতে বিকিকিনি চলছে। প্রতিটি দোকানে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। মানা হচ্ছে না কোন সামাজিক দূরত্ব। বেশিরভাগ দোকান গুলোতে নেই কোন স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যাবস্থা। অনেক মহিলাদের দেখা গেছে ছোট বাচ্চা সাথে নিয়ে কেনাকাটা করতে। এতে মারাত্মক স্বাস্হ্য ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে আজ সারা দেশে ১ দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এ অবস্থায় মানুষ সচেতন না হলে এর জন্য চড়া মুল্য দিতে হবে। এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রুনা লায়লার সাথে কথা বললে তিনি জানান উপজেলা পর্যায়ে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখা যাবে। সেক্ষেত্রে সরকার প্রদত্ত শর্তগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

No comments