বাংলাদেশ কি তাহলে হার্ড ইমিউনিটির দিকে আগাচ্ছে?
বাংলাদেশের করোনার ভবিষ্যৎ হার্ড ইমিউনিটি এবং এই মহামারীর মধ্যে লকডাউন তুলে দিলেও আপনার কি করা উচিৎ।
মোহাম্মদ ওসমান ( বিশেষ প্রতিনিধি)
বাংলাদেশে গত দুই সপ্তাহে মোট নতুন রোগীর সংখ্যা 8386 জন। অর্থাৎ দৈনিক রোগী বাড়ছে গড়ে 600 জন করে। এই হিসেবে এগুলো এই মাস শেষে মোট আক্রান্ত রোগী হবার কথা প্রায় ২৯,০০০ বা তার চেয়ে বেশী। রোগীর সংখ্যা যখন হু হু করে বাড়ছে তখন কেন সরকার গার্মেন্টস খুলে দিলো, কেন সীমিত আকারে মার্কেট খোলা হচ্ছে? সরকার কি জানেনা এই দেশে সীমিত আকার বা স্বাস্থবীধি বলে কিছু নাই? সরকার অবশ্যই জানে, তারপরেও কেন খুলছে? কেন খুলছে সেই উত্তর আমার কাছে নাই তবে বুঝে হোক না বুঝে হোক বাংলাদেশ হার্ড ইমিউনিটির দিকে যেতে চাচ্ছে। আমি এই লেখার সাথে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, স্পেন এবং নিউয়র্কের রোগীর সংখ্যার গ্রাফ সংযুক্ত করে দিচ্ছি। সেই গ্রাফ দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ এই মুহুর্তে পৃথিবীর একমাত্র দেশ যাদের নতুন রোগীর সংখ্যার গ্রাফ পাহাড়ের মতো উপরের দিকে উঠলেও তারা লকডাউন সীথিল করছে। দুনিয়ার আর যত দেশ লকডাউন সীথিল করছে সব দেশের নতুন রোগীর সংখ্যার গ্রাফটা উপর থেকে নীচের দিকে নামছে।
এবার আমি একটু আমার মত করে আপনাদের বলি হার্ড ইমিউনিটি কি বা কিভাবে কাজ করে, বাংলাদেশে হার্ড ইমিউনিটির ভবিষ্যৎ ও আপনার ভুমিকা।
হার্ড ইমিউনিটি মানে হচ্ছে কোন একটা দেশের বা এলাকায় ৯০ ভাগ মানুষের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট রোগের প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাওয়া। তাহলে ওই রোগটি আর ছড়াতে পারে না তাই ওই রোগ আর ওই এলাকায় থাকে না। যেমন ধরেন পোলিও। আমাদের দেশের ৯৮ ভাগ মানুষের শরীরে পোলিও রোগের প্রতিষেধক বা এ্যন্টিবডি আছে তাই পোলিও কোন ভাবে আর মহামারী হতে পারবে না। আমাদের দেশে কিন্তু ওই ভাবে আর কারো পলিও হয় না।
এখন এই হার্ড ইমিউনিটির জন্য যে ৯০ ভাগ মানুষের শরীরে এ্যান্টিবডি দরকার সেটা আসবে কিভাবে। সেটা দুই ভাবে আসতে পারে, এক ভ্যাকসিনের মাধ্যমে। যেমন ধরেন টাইফয়েড, পোলিও টিকা দিয়ে আমরা সবাই আমাদের শরীরে এইটার প্রতিষেধক পেয়েছি। নাম্বার দুই হচ্ছে যখন আমরা কোন রোগে আক্রান্ত হই তখন আমাদের শরীর নিজে নিজেই ওই রোগের বিরুদ্ধে একটা এ্যান্টিবডি তৈরি করে যার কারনে একবার ডেঙ্গু হলে আমাদের সাথে সাথে আর ডেঙ্গু হয় না, চিকেন পক্স বা গুটি বসন্তের বেলায়ও আমরা দেখতাম। অনেকেই বলবেন করোনা ভাইরাস যেটা কোভিড ১৯ ওইটাতে আবার হচ্চে। উত্তর হচ্ছে আমরা এতদিন জেনে আসছিলাম কিছু লোকের দ্বিতীয় বারের মতো করোনা হচ্ছে কিন্তু গতকাল বিশ্ব সাস্থ সংস্থা বলেছেন যাদের একবার হয় তাদের আর হচ্ছে না, যাদের দ্বিতীয় বার পাওয়া যাচ্ছে তাদের আসলে ফলস পজিটিভ আসছে এর মানে হলো তার শরীরে ওই ভাইরাসটা সুপ্ত ভাবে কিছু কিছু ছিল কিন্তু এন্টি বডি ওটা মেরে ফেলবে। মোট কথা অন্য রোগের মতো কোভিড-১৯ এও একাধিকবার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবি খুবি খুবি কম।
যেহেতু কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের কোন ভ্যাক্সিন এখনো নেই তাই এইটার হার্ড ইমিউনিটি পেতে হলে আমাদের কাছে নাম্বার দুই অপশনটা খোলা। মানে আমাদের শরীরে এটা হয়ে হয়ে এ্যান্টিবডি তৈরি হবে। আরেকটু বুঝিয়ে বলি,
ধরেন আপনার গ্রামে মোট ১০০ জন লোক আছে। এই গ্রামে করোনা ভাইরাস আছে ধরেন ৫ জনের। প্রপার লকডাউন থাকলে এই ৫ জনের পরে আর কারো নতুন করে করোনা হবে না, সো রোগটা হারিয়ে যাবে, ঝামেলা শেষ।
কিন্তু যদি কোন কারনে লকডাউন না মানা যায় যেমন বাংলাদেশে মানুষ লকডাউন মানছে না বা সরকার লকডাউন তুলে দিচ্ছে সেভাবে যদি ওই গ্রামের লকডাউন তুলে দেয়া হয় আর সবাই বাইরে আসে বা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসে তাহলে কি হবে? ধরেন, ১০০ জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আক্রান্ত ৫ জন। বাকী থাকলো ৯৫ জন। এই ৯৫ জনের মধ্যে ২০ জন লকডাউন তুলে নিলেও তারা ঘর থেকে বের হবেন না কারন তারা বের না হয়েও জীবন ধারন করতে পারবেন, উচ্চবিত্ত বা ক্ষমতাবানেরা আর কি। তাহলে এই ২০ জন ধরেন বিপদমুক্ত। এবার থাকলো ৭৫ জন। এই ৭৫ জনের মধ্যে ২৫ জন ধরেন ২১ বছর বয়সের নীচে যাদের আসলে স্কুল বন্ধ বা বাইরে যেতে হয় না। তাহলে মোট এই ৪৫ জন বিপদমুক্ত। বাকী থাকলো ৫০ জন। এই ৫০ জনের বাইরে কাজের জন্য জীবিকার জন্য ধরেন বের হতেই হবে মানে ধরেন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র। এই ৫০ জনের মধ্যে হয়তো ১০ জন সামাজিক দুরুত্ব বা স্বাস্থবীধি মেনে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে সুতরাং এরাও নিরাপদ। বাকী থাকলো ৪০ জন। এই ৪০ জন স্বাস্থবীধি না মেনে কাজ করতে বাধ্য হবে বা করবে সুতরাং এই ৪০ জন ধীরে ধীরে করোনায় আক্রান্ত হবে। হয়ে যাদের শরীরে এ্যান্টিবডি ভালো বা অন্য কোন রোগ নাই এমন ধরেন ৩০ জন এবং পূর্বে আক্রান্ত ৫ জন ভাল হয়ে যাবে। আর ১০ জন মারা যাবে যারা বয়স্ক, অন্য রোগও ছিল বা নিতান্তই তার হায়াত শেষ। তাহলে ১০০ জনে ১০ মারা গেলো, ৩৫ জন আক্রান্ত হয়ে ভাল হয়ে গেল, আর ৫৫ জনের হলোই না। কিন্তু আর কোন আক্রান্ত রোগী নাই তার মানে আর কোন করোনা ভাইরাস নাই। তাই বাহির থেকে নতুন কেউ করোনা ভাইরাস না নিয়ে আসলে এই গ্রামে আর কোন করোনা ভাইরাস নাই, মানে এই গ্রাম করোনা ভাইরাস মুক্ত। এই পর্যায়ে আপনি বলতে পারেন এই গ্রামে করোনা ভাইরাসের হার্ড ইমিউনিটি আছে। এখন বাইরে থেকে নতুন রোগী আসলেও যে ৫৫ জন হয় নাই তারা রিস্কে থাকবেন, যাদের হয়ে গিয়েছিল তারা নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি ১০ ভাগ মানুষের জীবনের বিনিময়ে ওই গ্রাম করোনা মুক্ত হলো, কোন ভ্যাক্সিন, চিকিৎসা, টেষ্ট কিছুই কিন্তু লাগলো না।
যে কোন কারনেই বাংলাদেশে মৃত্যুর হার অনেক কম আলহামদুলিল্লাহ। সম্ভবত আমরা ফরমালিন খাওয়া মাল বা আমাদের রোগ বালাই এমনি বেশি হয় তাই আমাদের এ্যান্টি বডি শক্তিশালী অথবা ধরেন আল্লাহ আমাদের মারবেন কম, যে কোন কারনেই বাংলাদেশে এখনো মৃত্যুর হার ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় অনেক কম। কিন্তু মারা যাচ্ছে না তা কিন্তু না। ১ ভাগ মানুষও যদি মারা যায় তাও কিন্তু অনেক।
যাই হোক সরকার বা যথাযথ কতৃপক্ষ হয়তো ভাবছে যে যেহেতু মানুষ বেশী মারা যাচ্ছে না এবং লকডাউন দিয়েও আসলে লকডাউন মানানো যাচ্ছে না তার চেয়ে আস্তে আস্তে স্কুল কলেজ ছাড়া বাকী সব একটু একটু করে খুলে দেই। তাতে সবার হতে হতে একস
মোহাম্মদ ওসমান ( বিশেষ প্রতিনিধি)
বাংলাদেশে গত দুই সপ্তাহে মোট নতুন রোগীর সংখ্যা 8386 জন। অর্থাৎ দৈনিক রোগী বাড়ছে গড়ে 600 জন করে। এই হিসেবে এগুলো এই মাস শেষে মোট আক্রান্ত রোগী হবার কথা প্রায় ২৯,০০০ বা তার চেয়ে বেশী। রোগীর সংখ্যা যখন হু হু করে বাড়ছে তখন কেন সরকার গার্মেন্টস খুলে দিলো, কেন সীমিত আকারে মার্কেট খোলা হচ্ছে? সরকার কি জানেনা এই দেশে সীমিত আকার বা স্বাস্থবীধি বলে কিছু নাই? সরকার অবশ্যই জানে, তারপরেও কেন খুলছে? কেন খুলছে সেই উত্তর আমার কাছে নাই তবে বুঝে হোক না বুঝে হোক বাংলাদেশ হার্ড ইমিউনিটির দিকে যেতে চাচ্ছে। আমি এই লেখার সাথে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, স্পেন এবং নিউয়র্কের রোগীর সংখ্যার গ্রাফ সংযুক্ত করে দিচ্ছি। সেই গ্রাফ দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন বাংলাদেশ এই মুহুর্তে পৃথিবীর একমাত্র দেশ যাদের নতুন রোগীর সংখ্যার গ্রাফ পাহাড়ের মতো উপরের দিকে উঠলেও তারা লকডাউন সীথিল করছে। দুনিয়ার আর যত দেশ লকডাউন সীথিল করছে সব দেশের নতুন রোগীর সংখ্যার গ্রাফটা উপর থেকে নীচের দিকে নামছে।
এবার আমি একটু আমার মত করে আপনাদের বলি হার্ড ইমিউনিটি কি বা কিভাবে কাজ করে, বাংলাদেশে হার্ড ইমিউনিটির ভবিষ্যৎ ও আপনার ভুমিকা।
হার্ড ইমিউনিটি মানে হচ্ছে কোন একটা দেশের বা এলাকায় ৯০ ভাগ মানুষের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট রোগের প্রতিষেধক তৈরি হয়ে যাওয়া। তাহলে ওই রোগটি আর ছড়াতে পারে না তাই ওই রোগ আর ওই এলাকায় থাকে না। যেমন ধরেন পোলিও। আমাদের দেশের ৯৮ ভাগ মানুষের শরীরে পোলিও রোগের প্রতিষেধক বা এ্যন্টিবডি আছে তাই পোলিও কোন ভাবে আর মহামারী হতে পারবে না। আমাদের দেশে কিন্তু ওই ভাবে আর কারো পলিও হয় না।
এখন এই হার্ড ইমিউনিটির জন্য যে ৯০ ভাগ মানুষের শরীরে এ্যান্টিবডি দরকার সেটা আসবে কিভাবে। সেটা দুই ভাবে আসতে পারে, এক ভ্যাকসিনের মাধ্যমে। যেমন ধরেন টাইফয়েড, পোলিও টিকা দিয়ে আমরা সবাই আমাদের শরীরে এইটার প্রতিষেধক পেয়েছি। নাম্বার দুই হচ্ছে যখন আমরা কোন রোগে আক্রান্ত হই তখন আমাদের শরীর নিজে নিজেই ওই রোগের বিরুদ্ধে একটা এ্যান্টিবডি তৈরি করে যার কারনে একবার ডেঙ্গু হলে আমাদের সাথে সাথে আর ডেঙ্গু হয় না, চিকেন পক্স বা গুটি বসন্তের বেলায়ও আমরা দেখতাম। অনেকেই বলবেন করোনা ভাইরাস যেটা কোভিড ১৯ ওইটাতে আবার হচ্চে। উত্তর হচ্ছে আমরা এতদিন জেনে আসছিলাম কিছু লোকের দ্বিতীয় বারের মতো করোনা হচ্ছে কিন্তু গতকাল বিশ্ব সাস্থ সংস্থা বলেছেন যাদের একবার হয় তাদের আর হচ্ছে না, যাদের দ্বিতীয় বার পাওয়া যাচ্ছে তাদের আসলে ফলস পজিটিভ আসছে এর মানে হলো তার শরীরে ওই ভাইরাসটা সুপ্ত ভাবে কিছু কিছু ছিল কিন্তু এন্টি বডি ওটা মেরে ফেলবে। মোট কথা অন্য রোগের মতো কোভিড-১৯ এও একাধিকবার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবি খুবি খুবি কম।
যেহেতু কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের কোন ভ্যাক্সিন এখনো নেই তাই এইটার হার্ড ইমিউনিটি পেতে হলে আমাদের কাছে নাম্বার দুই অপশনটা খোলা। মানে আমাদের শরীরে এটা হয়ে হয়ে এ্যান্টিবডি তৈরি হবে। আরেকটু বুঝিয়ে বলি,
ধরেন আপনার গ্রামে মোট ১০০ জন লোক আছে। এই গ্রামে করোনা ভাইরাস আছে ধরেন ৫ জনের। প্রপার লকডাউন থাকলে এই ৫ জনের পরে আর কারো নতুন করে করোনা হবে না, সো রোগটা হারিয়ে যাবে, ঝামেলা শেষ।
কিন্তু যদি কোন কারনে লকডাউন না মানা যায় যেমন বাংলাদেশে মানুষ লকডাউন মানছে না বা সরকার লকডাউন তুলে দিচ্ছে সেভাবে যদি ওই গ্রামের লকডাউন তুলে দেয়া হয় আর সবাই বাইরে আসে বা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসে তাহলে কি হবে? ধরেন, ১০০ জনের মধ্যে ইতিমধ্যে আক্রান্ত ৫ জন। বাকী থাকলো ৯৫ জন। এই ৯৫ জনের মধ্যে ২০ জন লকডাউন তুলে নিলেও তারা ঘর থেকে বের হবেন না কারন তারা বের না হয়েও জীবন ধারন করতে পারবেন, উচ্চবিত্ত বা ক্ষমতাবানেরা আর কি। তাহলে এই ২০ জন ধরেন বিপদমুক্ত। এবার থাকলো ৭৫ জন। এই ৭৫ জনের মধ্যে ২৫ জন ধরেন ২১ বছর বয়সের নীচে যাদের আসলে স্কুল বন্ধ বা বাইরে যেতে হয় না। তাহলে মোট এই ৪৫ জন বিপদমুক্ত। বাকী থাকলো ৫০ জন। এই ৫০ জনের বাইরে কাজের জন্য জীবিকার জন্য ধরেন বের হতেই হবে মানে ধরেন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র। এই ৫০ জনের মধ্যে হয়তো ১০ জন সামাজিক দুরুত্ব বা স্বাস্থবীধি মেনে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে সুতরাং এরাও নিরাপদ। বাকী থাকলো ৪০ জন। এই ৪০ জন স্বাস্থবীধি না মেনে কাজ করতে বাধ্য হবে বা করবে সুতরাং এই ৪০ জন ধীরে ধীরে করোনায় আক্রান্ত হবে। হয়ে যাদের শরীরে এ্যান্টিবডি ভালো বা অন্য কোন রোগ নাই এমন ধরেন ৩০ জন এবং পূর্বে আক্রান্ত ৫ জন ভাল হয়ে যাবে। আর ১০ জন মারা যাবে যারা বয়স্ক, অন্য রোগও ছিল বা নিতান্তই তার হায়াত শেষ। তাহলে ১০০ জনে ১০ মারা গেলো, ৩৫ জন আক্রান্ত হয়ে ভাল হয়ে গেল, আর ৫৫ জনের হলোই না। কিন্তু আর কোন আক্রান্ত রোগী নাই তার মানে আর কোন করোনা ভাইরাস নাই। তাই বাহির থেকে নতুন কেউ করোনা ভাইরাস না নিয়ে আসলে এই গ্রামে আর কোন করোনা ভাইরাস নাই, মানে এই গ্রাম করোনা ভাইরাস মুক্ত। এই পর্যায়ে আপনি বলতে পারেন এই গ্রামে করোনা ভাইরাসের হার্ড ইমিউনিটি আছে। এখন বাইরে থেকে নতুন রোগী আসলেও যে ৫৫ জন হয় নাই তারা রিস্কে থাকবেন, যাদের হয়ে গিয়েছিল তারা নয়। সুতরাং আমরা বলতে পারি ১০ ভাগ মানুষের জীবনের বিনিময়ে ওই গ্রাম করোনা মুক্ত হলো, কোন ভ্যাক্সিন, চিকিৎসা, টেষ্ট কিছুই কিন্তু লাগলো না।
যে কোন কারনেই বাংলাদেশে মৃত্যুর হার অনেক কম আলহামদুলিল্লাহ। সম্ভবত আমরা ফরমালিন খাওয়া মাল বা আমাদের রোগ বালাই এমনি বেশি হয় তাই আমাদের এ্যান্টি বডি শক্তিশালী অথবা ধরেন আল্লাহ আমাদের মারবেন কম, যে কোন কারনেই বাংলাদেশে এখনো মৃত্যুর হার ইউরোপ আমেরিকার তুলনায় অনেক কম। কিন্তু মারা যাচ্ছে না তা কিন্তু না। ১ ভাগ মানুষও যদি মারা যায় তাও কিন্তু অনেক।
যাই হোক সরকার বা যথাযথ কতৃপক্ষ হয়তো ভাবছে যে যেহেতু মানুষ বেশী মারা যাচ্ছে না এবং লকডাউন দিয়েও আসলে লকডাউন মানানো যাচ্ছে না তার চেয়ে আস্তে আস্তে স্কুল কলেজ ছাড়া বাকী সব একটু একটু করে খুলে দেই। তাতে সবার হতে হতে একস

No comments