উসমানীয় সমাজ ব্যবস্থায় 'ঝুলন্ত ঝুরি' রীতি
সম্পাদকীয়: উসমানীয় সমাজ ব্যাবস্থায় কিছু  উত্তম রীতিগুলোর মধ্য একটি ছিলো 'ঝুলন্ত ঝুড়ি' রীতি।
সমাজ থেকে অভাব ও ক্ষুধা দূর করার এ এক উত্তম ব্যাবস্থা। অতি সহজে সমাজ থেকে অভাব দূর করার সহজ একটি উপায় এটি।
রাসূল (সঃ) বলেন- সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে।
এ হাদিসের আলোকে সমাজের দরিদ্র অসহায় মানুষকে সুকৌশলে খাদ্য সামগ্রী দেয়ার জন্য 'ঝুলন্ত ঝুড়ি' রীতি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।
তৎকালীন সময়ে কোন ব্যক্তি রুটি কিনতে দোকানে গেলে ১ টি রুটি কিনলে ২ টি রুটির দাম দিতেন।
অতিরিক্ত রুটিটি দোকানদার তার দোকানে ঝুলানো ঝুড়িতে রেখে দিতেন।
যখন কোন ক্ষুধার্ত অথবা অভাবী লোক ঝুড়িতে রুটি দেখতেন সে তা সংগ্রহ করতো।
কোন ব্যক্তিই তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন রুটি নিতেন না। অভাবী ব্যক্তির যখন অভাব দূর হতো তখন সেও ঝুড়িতে রুটি রাখার ব্যবস্থা করতো।
এভাবে ঝুলন্ত ঝুড়ি ব্যবস্থায় সমাজের বিত্তবান দ্বারা দরিদ্ররা উপকৃত হতো।
বর্তমান সমাজে অভাবীদের সহায়তা করতে যারা এগিয়ে আসছে তারা দল বেধে সেলফি ও ফটোসেশনের মাধ্যমে অভাবী ব্যক্তিকে লজ্জাজনক অবস্থায় ফেলে নামমাত্র সাহায্য করছে।
অথচ উসমানীয় সমাজ ব্যবস্থার দিকে তাকালে তাদের উদারতার প্রমাণ পাওয়া যায়, কতটা উদার আর মহান ছিলো সে সমাজের জনপদ।
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায়ও যদি 'ঝুলন্ত ঝুড়ি "রীতি চালু করা যায় তবে এ দেশে থাকবে না কোন অভাব, ক্ষুধায় রাস্তা অবরোধ, ভাংচুর অথবা সমাবেশ করবে না কেউ।
শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সমাজে।
খাদ্যের অভাবেই মানুষ সকল অপকর্মে লিপ্ত হয়। যখন এ খাদ্যের অভাব দূর হবে তখন সমাজ থেকে সকল অন্যায় অপকর্মও দূর হয়ে যাবে।
আসুন সকলে যায় যায় অবস্থান থেকে অভাবগ্রস্থ প্রতিবেশীকে সাহায্য করি।
করোনার এ ছোবল থেকে আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুন। আমিন।
সমাজ থেকে অভাব ও ক্ষুধা দূর করার এ এক উত্তম ব্যাবস্থা। অতি সহজে সমাজ থেকে অভাব দূর করার সহজ একটি উপায় এটি।
রাসূল (সঃ) বলেন- সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে পেট ভরে খায় অথচ তার প্রতিবেশী অভুক্ত থাকে।
এ হাদিসের আলোকে সমাজের দরিদ্র অসহায় মানুষকে সুকৌশলে খাদ্য সামগ্রী দেয়ার জন্য 'ঝুলন্ত ঝুড়ি' রীতি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।
তৎকালীন সময়ে কোন ব্যক্তি রুটি কিনতে দোকানে গেলে ১ টি রুটি কিনলে ২ টি রুটির দাম দিতেন।
অতিরিক্ত রুটিটি দোকানদার তার দোকানে ঝুলানো ঝুড়িতে রেখে দিতেন।
যখন কোন ক্ষুধার্ত অথবা অভাবী লোক ঝুড়িতে রুটি দেখতেন সে তা সংগ্রহ করতো।
কোন ব্যক্তিই তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন রুটি নিতেন না। অভাবী ব্যক্তির যখন অভাব দূর হতো তখন সেও ঝুড়িতে রুটি রাখার ব্যবস্থা করতো।
এভাবে ঝুলন্ত ঝুড়ি ব্যবস্থায় সমাজের বিত্তবান দ্বারা দরিদ্ররা উপকৃত হতো।
বর্তমান সমাজে অভাবীদের সহায়তা করতে যারা এগিয়ে আসছে তারা দল বেধে সেলফি ও ফটোসেশনের মাধ্যমে অভাবী ব্যক্তিকে লজ্জাজনক অবস্থায় ফেলে নামমাত্র সাহায্য করছে।
অথচ উসমানীয় সমাজ ব্যবস্থার দিকে তাকালে তাদের উদারতার প্রমাণ পাওয়া যায়, কতটা উদার আর মহান ছিলো সে সমাজের জনপদ।
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায়ও যদি 'ঝুলন্ত ঝুড়ি "রীতি চালু করা যায় তবে এ দেশে থাকবে না কোন অভাব, ক্ষুধায় রাস্তা অবরোধ, ভাংচুর অথবা সমাবেশ করবে না কেউ।
শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সমাজে।
খাদ্যের অভাবেই মানুষ সকল অপকর্মে লিপ্ত হয়। যখন এ খাদ্যের অভাব দূর হবে তখন সমাজ থেকে সকল অন্যায় অপকর্মও দূর হয়ে যাবে।
আসুন সকলে যায় যায় অবস্থান থেকে অভাবগ্রস্থ প্রতিবেশীকে সাহায্য করি।
করোনার এ ছোবল থেকে আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুন। আমিন।
 

 
 
No comments