দোহার-নবাবগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শতভাগ নৌকা প্রার্থীর জয়
দোহার-নবাবগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শতভাগ নৌকা প্রার্থীর জয়
৩১ জানুয়ারি ২০২২, ছিল ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মোট ১৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রতিটি ইউনিয়নেই ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী। চোখে পড়ে নি কোন বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অনেক প্রার্থীই নির্বাচনে অংশ নেয়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে সকল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সতন্ত্র প্রার্থীদের ভরাডুবি করে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।
৩১ জানুয়ারি সোমবার সকাল ৯ টা থেকে ই.ভি.এম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং শেষ হয় বিকাল ৫ টায়।
নবাবগঞ্জ উপজেলার মোট ১৪ টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছে ১৪ জন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নে পলাশ চৌধুরী, শিকারীপরা ইউনিয়নে আলীমুর রহমান পেয়ারা, জয়কৃষ্ঞপুর ইউনিয়নে রেশমা আক্তার, বারুয়াখালী ইউনিয়নে এম এ বাবুল,বান্দুরা ইউনিয়নে হুমায়ুন কবির, কলাকোপা ইউনিয়নে ইব্রাহিম খলিল, যন্ত্রাইল ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান, শোল্লা ইউনিয়নে মিজানুর রহমান, বক্সনগর ইউনিয়নে আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, বাহ্রা ইউনিয়নে সাফিল উদ্দিন, কৈলাল ইউনিয়নে বশির আহমেদ সহ আগলা ইউনিয়নে শিরিন চৌধুরী, গালিমপুর ইউনিয়নে আজিজুর রহমান এবং চুরাইন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল জলিল।
অপরদিকে দোহার উপজেলায় ৫ টি ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নে রাশেদ চোকদার, মকসুদপুর ইউনিয়নে হান্নান খান, নারিশা ইউনিয়নে আলমগীর হোসেন, নয়াবাড়ি ইউনিয়নে তৈবর রহমান এবং কুসুমহাটি ইউনিয়নে জয়লাভ করেছেন আব্দুল কাশেম।
এ দিকে নির্বাচন ঘিরে সতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল অনেক। ভোট প্রদানে বাধা, জোরপূর্বক নৌকায় ভোট, হুমকি, গোপন কক্ষে নৌকার কর্মীদের অবস্থান, এজেন্ট দের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন সকল ইউনিয়নের সতন্ত্র প্রার্থীরা।
তবে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া অনেকটা শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।।
No comments