🔴 ব্রেকিং:
ঢাকার নবাবগঞ্জে শিক্ষিকার আত্মহত্যা🌐সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সিংগাইরের যুবক নি হ ত🌐সিংগাইরের জামশায় গাড়ি চাপায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু🌐

আমাদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন ; গ্রাহকদের প্রতি বার্তা দিলেন গাজী কামরুজ্জামান

 

গতকাল জামশা গ্রাম মানবিক উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভুক্তভোগী গ্রাহকরা মানববন্ধন করেন।  আজ ২৮ এপ্রিল বেলা ৩:৩০ মিনিটে এনজিওর পরিচালক গাজী কামরুজ্জামান তাদের গ্রাহকদের প্রতি ফেজবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থা জানান ।।নিচে স্ট্যাটাস টি হুবহু তুলে ধরা হলো।।

আমি গাজী কামরুজ্জামান। “গ্রাম মানবিক উন্নায়ন সংস্থা” এনজিও এর একজন অংশীদার। ২০০১ সালে আমাদের এই এনজিও প্রতিষ্ঠিত করি। অতি সুনাম ও বিশ্বাস্থতার সহিত সুদীর্ঘ বছর আমরা আমাদের গ্রাহক ও আমানত কারীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা করে আসছি। সুদীর্ঘ এই বছরের মধ্যে আমাদের কমিটমেন্টের কোনরুপ বরখেলাপ হয় নাই। বিগত বছর দুই আগে উত্তর জামশায় ১টি ও বালিরটেকের ১টি এনজিও তাদের ব্যক্তিগত চরম ভোগবিলাসের দরুণ তারা দেউলিয়া হয়। আর যার প্রভাব আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসে। আমাদের নগদ তারল্য কমে যায় এবং কিছু মাস পর তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। 


আমাদের এই ব্যবসা পুরাটাই টাকার ব্যবসা। যেমন, আপনারা টাকা জমা দেন এবং আমরা সেই টাকা কারো নিকট তার জীবনমান উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট মুনাফার শর্তে টাকা দেই। আর সেই মুনাফার অধিকাংশই আমাদের সম্মানিত আমানতকারীদের মুনাফা প্রদান করি। হঠাৎ করে আমাদের তারল্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের মুনাফা হতে আমাদের সম্মানিত আমানতকারীদের মুনাফাও প্রদান করতে থাকি। এবং আমরা অপেক্ষায় থাকি আবার কবে আমাদের আমানত জমা পড়বে এবং পূনরায় সব স্বাভাবিক হবে। কিন্তু আমাদের এই নির্মম পরিনতি মেনে আমরা আমাদের সমস্ত দেনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিই। বিগত ২ বছরে আমরা প্রায় ১২ কোটি টাকা আমাদের সম্মানিত আমানতকারীদের কমবেশি করে ফেরৎ দেই। 


এই দিকে বিপত্তি বাধে কুঋন (যারা টাকা নিয়ে ফেরত দিতে বিভিন্ন তালবাহানা করছে বা, স্বাভাবিক সময়ে ফেরৎ দিচ্ছে না) নিয়ে। আমাদের বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ৭ কোটি ৫০ পঞ্চাশ লক্ষ টাকা কু-ঋণ অফেরত হয়ে আছে। এত বিশাল পরিমান কু-ঋণ উঠাতে আমরা প্রায় অক্ষম। কু-ঋণকারীরা এখন আমাদের বিভিন্ন তালবাহানা দেখাচ্ছে। আমরা এখন নিরুপায়। আমি এই কু-ঋণ উঠানোর জন্য প্রশাসন ও আমাদের সম্মানিত আমানতকারীদের সাহায্য চাই।  


আপনারা জানেন আমাদের ৫৫ বিঘা ফলের দুইটি বাগান আছে। আরও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। আমাদের প্রতি আস্থা রাখুন। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের সন্তানের মতন। আর এই সন্তানের জন্মদাতা-দাত্রী আপনারাই। 


আমাদের মনে বা কর্মে কোনরুপ অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে আমরা অনেক আগে চলে যেতে পারতাম যখন আমাদের কাছে কোটি কোটি টাকা ছিল। আমরা কেউ যাইনি। সময় আজ অনূকূলে নাই বলে আপনারা নিরাশ হচ্ছেন। আপনাদের জায়গায় থাকলে আমিও হয়তো তাই করতাম। কারণ, টাকার শূন্যস্থান অন্য কিছু দিয়ে পূরণ সম্ভব না। আমি আপনাদের এলাকার ছেলে, আমি আপনাদের মানবিক চেয়ারম্যান গাজী।


আপনারা কিছু লোকের উষ্কানি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য আমার পার্টনার আমজাদের বাড়িতে কাল যে তান্ডব, ভাঙচুর করে আইন হাতে তুলেন এইটা কতটুকু যুক্তি সংগত বলেন? একবার ভাবুন এইটা যদি আপনাদের সাথে ঘটতো? আপনারা জানেন আমজাদের স্ত্রী, মা অসুস্থ? আমজাদের ভাই বাদলের কি দোষ ছিল তার বাড়ি, ঘর ভেঙে সব তছনছ করলেন? আপনারা জানেন আমাদের সংসার কি হালে চলছে? আমরা কি খাই কি বাজার করি? 


সব আপনাদের বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। পরিশেষে আবারও বলছি, আমাদের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন। আমরা চলে গেলে অনেক আগেই যেতে পারতাম। যখন আমাদের অবস্থা ভাল ছিল। ভাল থাকুন, ভাল রাখুন। আসসালামু আলাইকুম। 


গাজী কামরুজ্জামান 

২৮.০৪.২০২৫ ইং

No comments

Auto Scroll Stop Scroll