🔴 ব্রেকিং:
ঢাকার নবাবগঞ্জে শিক্ষিকার আত্মহত্যা🌐সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সিংগাইরের যুবক নি হ ত🌐সিংগাইরের জামশায় গাড়ি চাপায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু🌐

সোনালী জাতের মুরগী পালন করে সফল জামশার অমিত হাসান ফরহাদ

 



যুব সংবাদ ডেস্ক: শুরুটা ছিলো সখ করে, অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করে এখন বিশাল খামারী ও তরুন উদ্যোক্তা।  বলছি মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের তরুন সফল উদ্যোক্তা অমিত হাসান ফরহাদের কথা। পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী। নতুন কিছু করার অনুপ্রেরণা নিয়ে জামশা বাজারেই স্বল্প পুঁজি দিয়ে সীমিত পরিসরে শুরু করেন সোনালী জাতের মুরগী পালন। প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ নয়, বরং নিজ দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ তিনি সফল খামারী।

বর্তমানে বিশাল আয়তনের  দুটি নতুন শেড নির্মান করেছেন তিনি। বাচ্চা সরবরাহ করেছেন প্রায় ৩ হাজার।

প্রথম দিকে কিছুটা লোকসান হলেও বর্তমানে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন তিনি।

দৈনিক যুব সংবাদের এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান-

কোন কাজই ছোট নয়, মুল টার্গেট ঠিক থাকলে অবস্যই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। প্রথম দিকে বিভিন্ন সমস্যায় পরেছি। অন্যান্য খামারীদের সহযোগিতা নিয়েছি। আমার লক্ষ্য ঠিক রেখে কঠোর পরিশ্রম করেছি। তাই আজ আমি সফল। আমি এক সময় রাজনীতি করতাম।  দীর্ঘদিন ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছি। রাজনীতি আমার কাছে এখন মরিচীকা।  এ মরীচিকার পিছে না ছুটে নিজ কর্মের দিকে ধ্যান রাখাই উত্তম। 

যুব সমাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন- অযথা সময় নষ্ট না করে যে কোন কাজের পিছে সময় দিলে সাফল্য আসবেই। এতে চাকুরির জন্য কারো দ্বারে ঘুরতে হবে না।

তার খামারের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি জানান- বর্তমানে তার তৃতীয় ব্যাচ চলছে।প্রথম ব্যাচ পালন করতে অনেকটা হিমসিম খেতে হয়েছে,  লোকসানও গুনতে হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তারপর করোনা পরিস্থিতিতে মুরগীর দাম কমে যাওয়াতেও অনেকটা ঝুঁকিতে পড়েছি। বর্তমানে ভালোই লাভ পাচ্ছি। খামারে এখন আমার সাথে আরো দু জন শ্রমিক কাজ করে। নতুন শেডে একটা বড় ধরনের লাভের আশা করছি। 

অন্যান্য খামারী অথবা যারা বাড়িতে মুরগী পালন করে তাদের উদ্দেশ্যে জানান- আমি আমার এলাকার অন্যান্য খামারীদের জন্য এবং যে সকল মা বোন বাসা বাড়িতে মুরগী পালন করেন, তাদের  সুবিধার্থে নিয়মিত ঔষধ, অন্যান্য উপকরণ এবং সকল সহায়তা প্রদান করবো এবং প্রতি সপ্তাহে পশু চিকিৎসক এনে বিনামূল্যে সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

তরুন এ উদ্যোক্তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের অনেক যুবকই এ মুরগী পালনে আগ্রহী হচ্ছে। 

অল্প কিছু পুঁজি আর একটু পরিশ্রম করলেই সফলভাবে নিজে সাবলম্বী হয়ে এবং অন্যের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি সহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এলাকার সুশীল সমাজের মানুষ।



No comments

Auto Scroll Stop Scroll