প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ০৫.০৪.২০২১ তারিখে দৈনিক 'আল-আযান' পত্রিকায় ‘দক্ষিণ জামশা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সির ফরম পূরণে বেশী টাকা আদায়' এবং ১৩.০৪.২০২১ তারিখে ‘এস.এস.সির ফরম পূরণে বেশী টাকা আদায় ও স্কুলের টাকা আত্মসাতের অভিযােগ’ শিরােনামে দু'টি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যা সম্পূর্নরুপে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণােদিত । আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রিমহল বিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এই মিথ্যা প্রতিবেদন ছাপিয়েছে । শিক্ষাবাের্ডের ফরম পূরণ সংক্রান্ত পরিপত্রের এক বিন্দু বাইরে যাওয়ার কোনাে সুযােগ নেই । বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১৯৭০/= এবং ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের জন্য ১৮৫০/= ফরম পূরণ ফি শিক্ষাবোর্ড ধার্য করেছে । পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশনচার্জ ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত পরিশােধ করতে হবে যাহা উক্ত পরিপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে । সেশনচার্জ বাদ দিয়ে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের বেতন বাবদ ৩৩৬০/= (২৮০x১২) ফরম পূরণ ফি এর সাথে সংযুক্ত করে একটি রুপরেখা দাঁড় করানাে হয়েছে যাহা বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৫৩৩০/= টাকা এবং ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের জন্য ৫২১০/= টাকা । কিন্তু ফরম পূরণ শুরুর আগেই করােনা পরিস্থিতিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখে ম্যানেজিং কমিটির বৈঠকে নির্ধারিত সম্পূর্ণ টাকা আদায় না করতে বিদ্যালয়কে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সেই আলােকে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল মনােভাব নিয়ে ফরম পূরণের সুযােগ দিয়েছেন । অধিকাংশ ছাত্র - ছাত্রীই ১৮৫০/= থেকে ৩৫০০/= টাকার মধ্যে ফরম পূরণের সুযােগ পেয়েছে । অল্প কয়েকজন ৪৫০০/= টাকায় ফরম পূরণ করেছে । হাতেগােনা দুই -তিনজন বিত্তবান পূর্ণ টাকায় ফরম পূরণ করেছে । এমনকি মাত্র ১০০/= টাকায় ফরম পূরণের সুযােগ দিয়ে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নজির সৃষ্টি করেছেন। আমরা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বলেছি কেউ যদি একটি টাকাও আনতে না পারে তাকেও ফরম পূরণের সুযােগ দিতে হবে । প্রয়ােজনে আমরা ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা দিয়ে দেবাে । সর্বোপরি , বিষয়গুলাে তদারকির জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রয়েছেন । তাছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহােদয়েরও নজরদারিতে আছে।
দ্বিতীয় প্রতিবেদনটিতে স্কুলের টাকা আত্মসাতের যে অভিযােগ আনা হয়েছে তা হাস্যকর । বিদ্যালয়ের ৩৮৪ শতাংশ জমির কথা বলা হয়েছে যা সত্য নয় । প্রকৃতপক্ষে জমি আছে ৩৯৪ শতাংশ । বিদ্যালয়ের জমিতে ২০০ টি ভিটি দোকান আছে এবং তা থেকে প্রতি মাসে ৪ লক্ষ টাকা ভাড়া উত্তোলন করা হয় যাহা আদৌ সত্য নয় । দোকান আছে ৩৯ টি যাহা থেকে রিসিভ এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ের নিজ দায়িত্বে বাৎসরিক হিসেবে টাকা উত্তোলিত হওয়ার সাথে সাথেই ব্যাংকে জমা প্রদান করা হয় । গরুর হাটের কথা বলা হয়েছে যাহা থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা উত্তোলিত হয় । মূলত গরুর হাটের ইজারাদার স্কুল নয় । তাই টাকা আসার প্রশ্নই আসে না । দুই ব্যাংক থেকে ভাড়ার উত্তোলিত টাকা সাথে সাথেই ব্যাংকে জমা রাখা হয় এবং প্রয়ােজনে ব্যাংক চেকের মাধ্যমেই বিদ্যালয়ের সমস্ত ব্যয় নির্বাহ করা হয় ভাউচার অনুমােদন সাপেক্ষে । খােলাবাজার থেকে প্রতি সপ্তাহে ৮ হাজার টাকা বিদ্যালয়ে আসার বিষয়টি সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা । এছাড়াও অন্যান্য গােপনীয় অতিরিক্ত টাকা প্রভাবশালীরা আদায় করে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে । এই প্রভাবশালী কারা এবং সত্যতা কী - তা খুঁজে বের করতে হবে । সর্বোপরি সবকিছুর একটি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে 'আল-আযান’ পত্রিকা একটি সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে আমি আশা করি ।
মােহাম্মদ মােজাহার হােসেন
সভাপতি, পরিচালনা পর্ষদ
দক্ষিণ জামশা উচ্চ বিদ্যালয় । সিংগাইর, মানিকগঞ্জ।

No comments