🔴 ব্রেকিং:
ঢাকার নবাবগঞ্জে শিক্ষিকার আত্মহত্যা🌐সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সিংগাইরের যুবক নি হ ত🌐সিংগাইরের জামশায় গাড়ি চাপায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু🌐

পর্তুগাল বনাম ফ্রাঞ্চঃ সেয়ানে সেয়ানে লড়াই

 পর্তুগাল বনাম ফ্রাঞ্চঃ সেয়ানে সেয়ানে লড়াই






দিদিয়ের দেশম নাকি ফার্নান্দো সান্তোস? ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নাকি কিলিয়ান এমবাপে। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নাকি বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন? এসব প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে আজ মাঠে নামছে ফ্রাঞ্চ ও পর্তুগাল। গ্রুপ অফ ডেথের শেষ লড়াই আজ। হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেষ্টের পুসকাস অ্যারিনায় বাংলাদেশ সময় রাত ১ মুখোমুখি হবে গ্রিজম্যান, এমবাপে,বেনজামা ও রোনালদো,পেপে,জোটা’রা। গ্রুপের প্রথম ম্যাচে দুই দলই জয় তুলে নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচ কারোর জন্যই সুখকর হয়নি। হাঙ্গেরির সাথে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে ফ্রাঞ্চ অন্যদিকে জার্মানির সাথে হেরে গ্রুপে পর্তুগালের বর্তমান অবস্থান তৃতীয়। দুই দলই চাইবে জয় তুলে ভালো ভাবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে। 




মুখোমুখি পরিসংখ্যান


সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচ মুখোমুখি লড়াইয়ের পাল্লাটি ফ্রাঞ্চের দিকেই ঝুঁকে আছে। ফ্রাঞ্চ জিতেছে ৩টি ম্যাচ, একটি ম্যাচ অমিমাংসিত ছিলো। পর্তুগাল জিতেছে একটি মাত্র ম্যাচ। আর সেটি হচ্ছে ২০১৬ ইউরোর ফাইনাল। সুতরাং বলা যায় সঠিক সময়ে জ্বলে উঠতে পারেন পর্তুগীজরা।



পর্তুগালের সাফল্যঃ 


জয় দিয়ে ইউরো-২০২০ যাত্রা হয় পর্তুগালের। গ্রুপ-এফ’র প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরিকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে পর্তুগাল। যদিও তাদের সে ম্যাচ সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি। ম্যাচের শেষে সময়ের নাটকীয় তিন গোলে বুদাপেস্টের সমর্থকদের মন ভাঙেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো- ব্রুনো ফার্নান্দেসরা। পরের ম্যাচে তারা গ্রুপের অন্য হট ফেবারিট জার্মানির কাছে ২-৪ গোলের লজ্জাজনক জয় উপহার পায়। দারুন ভাবে ম্যাচটি শুরু করলেও জার্মান শক্তির কাছে নাস্তানুবাদ হয় পর্তুগীজরা। রোনালদো জার্মানির বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম গোলটি পেলেও প্রথম জয়টি এখনো অধরাই রয়ে গেল।




ফ্রাঞ্চের সাফল্যঃ


ইউরো-২০২০ এর শুরুটা মোটেও ফ্রাঞ্চসুলভ হয় নি তাদের। প্রথম ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে জয় পেলেও কিলিয়ান এমবাপে,করিম বেনজমা, আঁতোয়ান গ্রিজমান, অলিভিয়ের জিরুদের মতো বিশ্বের সেরা সেরা স্ট্রাইকার থাকা স্বত্বেও তাদের নির্ভর করতে হয়েছিলো জার্মান ডিফেন্ডার ম্যাট হুমলসের আত্মঘাতী গোলের উপর। মাত্র ১ গোলের সংকীর্ণ জয় পেয়েছিলো ’লা ব্লুজরা’।জয়টা ১ গোলের ব্যবধানে বা আত্মঘাতী গোলে হলেও ফ্রাঞ্চ কিন্তু ৩ পয়েন্টই লাভ করে।


 অ্যালিয়ান্জ  অ্যারিনাতে ভাগ্যণুনে জয় পেলেও পরের ম্যাচে হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারিনাতে গিয়ে লজ্জাই নিয়েই প্রায়  ফিরে আসতে হয়েছিলো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। হাঙ্গেরির সাথে ম্যাচের ৪৫ মিনিটেই গোল হজম করে বসে ফ্রাঞ্চ। প্রতিপক্ষের গোলবার খুঁজেই পাচ্ছিলেন না  এমবাপে-বেনজামা-গ্রিজম্যানরা।পরাজয়ের সূর্য যখন তাদের মাথায় কিরণ দিচ্ছিলো তখন তাদের ত্রাণকর্তা হয়ে এগিয়ে আসেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। ৬৬ মিনিটে হাঙ্গেরীয়ানদের নিরব করে ফ্রাঞ্চের হয়ে গোল করেন গ্রিজম্যান।সে ম্যাচে কোনোরকম ড্র করে ১ পয়েন্ট অর্জন করে গ্রুপ এফে প্রথম অবস্থানে আছে ফ্রাঞ্চ।





পর্তুগালের ফর্মেশন ও কৌশল


পর্তুগালের আক্রমণ  ভাগের খেলোয়াড় জো ফেলিক্ম দল থেকে ছুটকে পরেছেন। তিনি মাসল ইনজুরিত ভুগছেন। ছিটকে পরেছেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নুনো মেন্ডিসও। তিনিও একই সমস্যায় ভুগছেন। তবে তাদের ইনজুরি খুব একটা প্রভাব ফেলবে না দলে ।কারন তারা দুজেনের একজনও নিয়মিত একাদশে খেলছেন না। 


৪-২-৩-১ ফর্মেশানেই ভরসা পর্তুগীজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের । গোলবার সামলানেরা জন্য তিনি বরাবরের মতেই রুই প্যাটরিুসওর উপরই ভরসা রাখবেন। ম্যান সিটির হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম কাটানো রুবেন ডিয়াজ ও সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা পেপে থাকতে পারেন সেন্ট্রাল ডিফেন্সে। এভারটন ফুলব্যাক নেলসন সেমেডো ও এন্জেল গোরেরা খেলতে পারেন ফুলব্যাক হিসেবে।


 মুতিনহো, কারভালহো আর ম্যাঞ্চাস্টার ইউনাইটেড তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেস থাকবেন মধ্যমাঠে। লেফট উইংয়ে লিভারপুল তারকা ডিয়াগো জোটা আর ইউরোর ইতহাসে সর্বচ্চো গোল করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো থাকবেন আক্রমণে। রাইট উইং নিয়ে ফার্নান্দো সান্তোস নতুন করে ভাবতে পারেন। বদলি হিসেবে নেমে হাঙ্গেরি ও জার্মানির বিপক্ষে দুর্দান্ত সাফল্য দেখিয়েছেন লিল তারকা রেনাটো সানজেচ। বার্নাডো সিলভার পরিবর্তে সানজেচ রাইট উইংয়ে প্রথম পছন্দ  হয়ে যেতে পারেন।



সম্ভাব্য একাদশঃ 

প্যাটরিসিও ,ডিয়াস, পেপে, সেমেডো, গোরেরা, মুতিনহো, কারভালহো, ফার্নান্দেস, জোটা, সানজেচ, রোনালদো।







ফ্রাঞ্চের ফর্মেশন ও কৌশল


বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড উসমান ডেম্বেলেকে ছাড়া বাকী সব খেলোয়াড়কেই ফিট হিসেবে পাচ্ছেন দিদিয়ের দেশম । ডেম্বেলে হাঙ্গেরির বিপক্ষে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। ধারনা করা হচ্ছে তিনি একমাসের মত মাঠের বাইরে থাকবেন। 


৪-৩-২-১ ফর্মেশনেই  দিদিয়ের দেশমেরও আস্থা। ফ্রেঞ্চ অধিনায়ক হুগো লরিস বরাবররে মতই গোলকিপার হিসেবে দেশমের প্রথম পছন্দ ।দেশম আশা করবেন লরিস সামনে থেকে দলকে নেতৃত্বে দিবেন, দলকে উজ্জিবিত করবেন। রক্ষণে খুব বেশি পরিবর্তনের আভাস নেই। বেন্জামিন পাভার্ডের অসুস্ততা জনিত কারনে ম্যাচ মিসের আশংকা করা হয়েছিলো। তবে টিম মেডিকেল তাকে সুস্থ ঘোষনা করায় মূল একাদশে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।


 ফ্রাঞ্চের মধ্যমাঠ ইউরোপ সেরা। ন’গলে কন্তে ও পল পগবা দারুন ফর্মে আছেন। তাদের সাথে তৃতীয় মিডফিল্ডার হিসেবে কে যোগ দিবেন সেটা নিয়ে অবশ্য সংশয় আছে। ইউভেন্তুস মিডফিল্ডার এড্রিয়ান র‌্যাবিয়ট নাকি বায়ার্ণ মিউনিখ মিডফিল্ডার করিন্থন টলিসো; সেটা ম্যাচ শুরুর পরেই নিশ্চিত করে বলা যাবে। এমবাপে-গ্রিজম্যান-বেনজামা আক্রমনের দায়িত্বে থাকবেন। গোল খরা দূর করে জয় ছিনিয়ে আনার প্রত্যাশাই করবে ফ্রাঞ্চের সমর্থকেরা।


সম্ভাব্য একাদশঃ লরিস, ভারান, কিএমবাপে, পাভার্ড, হার্নান্দেজ, কন্তে, পগবা, টলিসো, গ্রিজম্যান, এমবাপে, বেনজামা।

No comments

Auto Scroll Stop Scroll