কেন সার্জিও আগুয়েরোকে ম্যানচেষ্টার সিটির সমর্থকেরা কোন দিন ভুলতে পারবে না?
কেন সার্জিও আগুয়েরোকে ম্যানচেষ্টার সিটির সমর্থকেরা কোন দিন ভুলতে পারবে না?
সার্জিও আগুয়েরো গত রোববার ম্যানচেষ্টার সিটি থেকে বিদায় নিয়েছেন। বিদায়ের পূর্বে তিনি ম্যানচেষ্টার সিটিতে তার ল্যান্ডমার্ক রেখে গেছেন।
২০১২ মৌসুমে লীগের শেষ ম্যাচে কিউ পি আর এর বিপক্ষে শেষ সময়ে তার শিরোপা নির্ধারণী গোল প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসে নজির হয়ে আছে। যা এক কথায় আইকনিক ও অবিশ্বাস্য। এটা সত্যিই যে, সিটিতে তিনি প্রথম মৌসুমে যা অর্জন করেছিলেন তা বাকী ৯ বছরের তুলনায় বেশি স্বরণীয়।
সিটি যখন কিউ পি আর এর বিপক্ষে ধুঁকছিল আর ম্যানচেষ্টারের অন্য ক্লাব ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেট শিরোপা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল তখন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সার্জিও আগুয়েরো ৯৩ মিনিটে সিটিকে গোল উপহার দেন। আসলে সেটি গোল ছিল না ছিল প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা। ৪৪ বছর পর ম্যানচেষ্টার সিটি প্রিমওয়ার লীগ জিতে। সেই শুরু,, আগুয়েরোর হাত ধরে ম্যানচেষ্টার সিটি এখন ইংল্যান্ডে ফুটবল পরাশক্তি।
এটা আমার জীবনের অবিস্বরণীয় সৃতি। আমি মনে করি এটা আর কখনোই ঘটবে না; অন্য দেশ বা এই দেশের হয়ে। এটা এমন একটা ব্যাপার যা পুনরায় ঘটা অসম্ভব। এভারটনের সাথে শেষ ম্যাচ খেলার পর সার্জিও আগুয়েরো কথা গুলো বলেন।
বিদায়ী ম্যাচে এভারটনের বিপক্ষে দুই গোল করার মাধ্যমে তিনি এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করার ওয়েন রুনির নজিরটি নিজের করে নেন। ওয়েন রুনি ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের হয়ে করেন ১৮৩ গোল। অন্যদিকে আগুয়েরো ম্যানচেষ্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লীগে তার দশ মৌসুমে করেন ১৮৪ গোল।এছাড়াও সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৩৭৪ ম্যাচে ২৪৭ গোল করেন। ম্যানচেষ্টার সিটির হয়ে তিনি পাঁচটি প্রিমিয়ার লীগ, একটি এফ.এ কাপ, ছয়টি লীগ কাপ,তিনটি কমিউনিটি শিল্ড জিতেন।
আগুয়েরো প্রজন্মের মাধ্যমেই ম্যানচেষ্টার সিটির ইতিহাস রচনা শুরু হয়। তার বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্ম তা দিনে দিনে আরো সমৃদ্ধ করছে।
যে উন্মাদনা আগুয়েরো সৃষ্টি করেছিলেন ২০১২ সালে তা ম্যানচেষ্টার সিটির সমর্থকেরা কোন দিনই ভুলতে পারবে না, ভুলতে পারবে না সার্জিও আগুয়েরো কেও।
লেখক
কবির এম. হোসেন।

No comments