সিংগাইরের জামশায় অভিনব উপায়ে গরু চুরি ; হতদরিদ্র পরিবারের স্বপ্ন ভঙ্গ

 



সিংগাইরের জামশায় অভিনব উপায়ে গরু চুরি ; হতদরিদ্র পরিবারের স্বপ্ন ভঙ্গ 





মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন ওরফে দলিল উদ্দিনের স্ত্রী সামেলা বেগম। এক ছেলে ও মেয়ে নিয়ে অতি দরিদ্রতার সাথে জীবন যাপন করেন তিনি। প্রতি বছর কোরবানি ঈদে ধার দেনা করে একটি-দুটি  করে গরু লালন পালন করে তা ভালো দামে বিক্রয় করে পরিবারের চাহিদা পূরণের চেষ্টা তার। একটি গরু, একটি পরিবারের স্বপ্ন। 


এবার ঈদকে সামনে রেখে পরম মমতায় একটি গরু লালন পালন করেন তিনি। যার বাজার মূল্য প্রায় ষাট-সত্বর হাজার টাকা। এই গরু লালন পালনে তিনি অনেকটা ধার দেনার আশ্রয় নিয়েছেন।  স্বপ্ন ছিল গরু বিক্রি করে ধার দেনা শোধ করে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে ঈদটা উৎযাপন করবেন।  কিন্তু সে স্বপ্ন আর পূরণ হল না সামেলা বেগমের।


১৬ জুলাই শুক্রবার রাতে তার পরম মমতায় লালন পালন করা গরুটি চুরি করে নিয়েছে এক দল চোর চক্র। 

প্রতিদিনের মত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে গোয়ালে গরু রেখে ঘুমিয়ে পরেন সামেলা বেগম। সেদিনই দিবাগত রাতে আনুমানিক ২:৩০ মিনিটে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে গরুটি চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।


 বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ডাঙার পাশে গরুটির মাথা, পা,  ভূড়ি, ও চামড়া দেখতে পায় এলাকাবাসী । 


এলাকাবাসীর ধারণা - গরু চুরি করে এনে রাতেই জবাই করে  অবাঞ্ছিত অংশ রেখে বাকি অংশ নিয়ে গেছে। 


এ দিকে খবর পেয়ে সামেলা বেগম ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পরেন। পুত্র শোকের ন্যায় আহাজারি করতে থাকেন তিনি।




সামেলা বেগমের ছেলে সালমান জানান- অনেক ধারদেনা করে মা গরুটি লালন পালন করেছে। কিছুদিন আগে বেশকিছু টাকা ঋণ করে আমাকে জামশা বাজারে একটি দোকান কিনে দিয়েছে। ইচ্ছে ছিল গরুটি বিক্রি করে ধারদেনা কিছুটা শোধ করবো। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দোকান ঠিকমত করা যায় না। দোকানের ঋণ, আবার গরু পালন করতে গিয়ে গরুর খাদ্য সামগ্রীর দোকানেও অনেক বাকি পরে আছে। সব মিলিয়ে গরুটি হারিয়ে আমরা নিঃশ্ব হয়ে গেছি। আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে।

সামেলা বেগম জানান- আমার সন্তানের মত করে গুরুটি লালন পালন করেছি। আমার সব শেষ হয়ে গেল। সরকারের কাছে বিচার ও আর্থিক সহায়তা চান সামেলা বেগম।


No comments

Auto Scroll Stop Scroll