বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডঃ আরো একটি সিরিজ, আরো একটি মাইলফলকের সম্ভাবনা
বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডঃ আরো একটি সিরিজ, আরো একটি মাইলফলকের সম্ভাবনা।
দুয়ারে আরো একটি সিরিজ কড়া নাড়ছে। পহেলা সেপ্টম্বর মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বাংলাদেশ আর টম লাথামের নিউজিল্যান্ড। ২০১৩ সালের পর বাংলাদেশে এই প্রথম সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড।কাগজে কলমে দ্বিতীয় সারির দল হলেও দলটি যে নিউজিল্যান্ড সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দল আছে ফুরফুরে মেজাজে। সামনেই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগে এটাই বাংলাদেশের শেষ টি-টুয়েন্টি সিরিজ। আর তাই বাংলাদেশ টিম সিরিজটিকে নিচ্ছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বিন্দু পরিমাণ ঘাটতি চাচ্ছেনা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট ।বিশেষ করে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো দলের প্রতিটি পজিশনের খেলোয়াড়দের ঝালাই করে নিতে চাচ্ছেন।
ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সাথে কে নামবেন, এই প্রশ্নটি আগে আসত। কিন্তু তামিম ইকবাল নিজেই ইনজুরি আক্রাণ্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে। সৌম্য সরকার মোটেও ধারাবাহিক নন। এক সিরিজ ভালো খেলেন তো পরের সিরিজে তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। লিটন দাশ ও নাইম ইসলামও খুব বেশি সফল,সে কথাও হলফ করে বলা যায় না। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ মিস করলেও দলে ফিরেছেন লিটন দাশ।বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ এ্যাশয়োল প্রিন্স সিরিজ শুরুর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন লিটন দাশ ওপেনিং করবেন। তার সঙ্গী কে হন সেটা দেখার বিষয়।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধান অস্ত্র। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাকিব ছিলেন দুর্দান্ত। ব্যাটিংয় ও বোলিংয়ে সমানতালে লড়েছেন তিনি। হয়েছিলেন সিরিজ সেরা। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টুয়েন্টতে ১০০ ইউকেট ও ১০০ রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি।তবে সাকিব চাইবেন বিশ্বকাপের আগে তার ব্যাটিংটাকে আরো একটু উন্নত করতে।
অস্ট্রেলিয়ার কঠোর শর্তারোপের কারনে ঘরের মাঠে সিরিজ মিস করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দল ফিরেছেন তিনি। তিনি দলে ফেরায় অবশ্য বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট পড়েছে এক মধুর সমস্যায়। মুশফিকসহ দলে উইকেটরক্ষক এখন তিনজন। লিটন দাশ ও মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতিতে নুরুল হাসান সোহান অস্ট্রেলিয়া সিরিজে গ্লাভস হাতে মন্দ ছিলেন না। মুশফিক দলে ফেরায় কার হাতে গ্লাভস উঠে সেটা নিয়ে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন।
’আগের’ মুস্তাফিজকে ফিরে পেয়ে বাংলাদেশের সমর্থকেরা যারপরনাই খুশি। ইনজুরি আর ফর্মহীনতায় তাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন পুরো দল । কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার সেই কাটার আর সুইয়ে মুগ্ধ সবাই । তার কিপটে বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের রান করা থেকে বিরত রেখে দলকে জয় উপহার দিতে সাহায্য করে।
তরুন আর অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মিশেল এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বিশ্বের বড় বড় দলকে পরাজিত করে বাংলাদেশ দলটি এখন ক্রিকেট পরাশক্তি।দলে যেমন আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসানের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তেমনি আছেন আফিফ, মেহেদি, নাসুমের মত তরুন ও সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। সকলের সম্মীলিত প্রয়াসে ঘরের মাঠে আরো একটি সিরিজ জয় করবেন, এমন আশা বাংলাদেশের সমর্থকেরা করতেই পারেন।
No comments