মানিকগঞ্জে অন্ডকোষে লাথি মেরে ঘটককে হত্যা; নারী আটক
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার পূর্ব দিঘুলিয়া আয়নাল হকের কৃষি জমি থেকে লোকমান হোসেন (৫০) নামের এক ঘটকের লাশ উদ্ধারের মামলায় আফরোজা বেগম (৩৪) নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পাকুটিয়া গ্রাম থেকে ওই নারীকে আটক করে পিবিআই।
হত্যার বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিলেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ৬ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছেন। গ্রেফতারকৃত আফরোজা বেগমকে পাকুটিয়া গ্রামের মো. আলমাছ আলীর স্ত্রী ।
পিবিআই’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সামরুল হোসেন।
পিবিআই জানায়, নিহত লোকমান হোসেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার পাকুটিয়া ইউনিয়নের আউটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি ঘটকালি করতেন। ঘটকালির সূত্রেই তিন মাস আগে লোকমান ও আফরোজার পরিচয় হয়। আফরোজার কিশোরী মেয়ের বিয়ে ঠিক করা নিয়ে মোবাইল ফোনে দুজনের কথা হতো। এভাবে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার (১৪ জুন) রাত ৯টার দিকে লোকমান হোসেন মোবাইল ফোনে আফরোজাকে বসতবাড়ির পেছনে পুকুরপাড়ে আসতে বলেন। সেখানে লোকমান আফরোজাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আফরোজা লোকমানের কাছে ১০০ টাকা চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে আফরোজাকে গালি-গালালাজ করেন। তখন আফরোজা ক্ষিপ্ত হয়ে লোকমানের অণ্ডকোষে লাথি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর লোকমানকে রেখে বাড়িতে চলে যায় আফরোজা।
পরেদিন ১৫ জুন তার মরদেহ পূর্ব দিঘুলিয়া আয়নাল হকের কৃষি জমিতে পরে আছে জানতে পারে তার ছেলে আব্দুল হাকিম। আত্বীয়¯স্বজন নিয়ে লাশ শনাক্ত করে পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় মো. লোকমান হোসেনের ছেলে আব্দুল হাকিম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় মামলা করলে বিষয়টি মানিকগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর উপ-পরিদর্শক সামরুল হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি ছায়া তদন্ত করে ১৫ জুন রাতে পাকুটিয়া গ্রামের মো. আলমাছ আলীর স্ত্রী আফরোজা বেগমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।জিজ্ঞাসাবাদে আফরোজা হত্যার দায় স্বীকার করলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়
No comments